সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণহত্যার কালরাত্রি স্মরণে আলোচনা সভা, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, আলোর মিছিলের আয়োজন করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রত্যয় নিতে হবে গণহত্যাকারীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। পঁচাত্তরের পরে যারা গণহত্যাকারীদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছে তারা সক্রিয় আছে। তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষ নিতে পারে না। এদেরকে প্রতিহত করতেই হবে।
এ সময় সরকার গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গণহত্যার স্বীকৃতি পায়নি এটা দুর্ভাগ্য। কারণ তৎকালীন শাসকরা চায়নি। স্বস্তির বিষয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ এইদিনকে স্বীকারই করেনি কেবল, রাষ্ট্রীয়পর্যায়ে পালন করা হচ্ছে।
হাসানুল ইক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রতিটি দিনই ছিলো গণহত্যার ঘটনায় কলঙ্কিত। এটি সম্মিলিতভাবে উপলব্ধি করতে হবে। এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস দর্শন চেতনাকে ধুলিসাৎ করতে চেয়েছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্য পুরনো কৌশল কার্যকর করলো। গণহত্যাকারীদের পিতা ছিলেন জিয়া। জিয়ার পরে খালেদা মাতার ভূমিকা রাখছেন। রাজাকারদের দোসর বিএনপিকে দেশের জন্য হুমকি উল্লেখ করে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঘোষণাপত্রে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, গণহত্যাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আমরা আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চাই না। যে রাজনীতি গণহত্যার আদর্শিক ক্ষেত্র তৈরি করেছে, গণহত্যাকে বৈধতা দিয়েছে এবং ধর্মের নামে মহিমান্বিত করেছে সে রাজনীতি বাংলাদেশে থাকতে পারে না। আজকে গণহত্যা দিবসে আমাদের প্রধান দাবি বাংলাদেশে ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও গণহত্যার রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এসকেবি/এএটি