সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিনের শুভ সূচনা করা হয়। সকালে কোর্ট শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর উর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাধীনতা দিবসের আনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে প্যারেড পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ করেন। শারীরিক কসরত পরিদর্শনের পর পুরস্কার বিতরণ করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক এস এম আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম হাফিজ আক্তার এবং পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহিদুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে সকালে রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসদন, শিশু নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।
বিকেলে রিভারভিউ কালেক্টরেট স্কুলে নারীদের ক্রীড়া ও আলোচনা অনুষ্ঠান এবং মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক একাদশ বনাম মুক্তিযোদ্ধা একাদশ ও মেয়র একাদশ বনাম বিভাগীয় কমিশনার একাদশ এর মধ্যে প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর শিল্পকলা একাডেমিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া শিল্পকলা একাডেমিতে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর ও আলুপট্টি মোড়ে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে এবং প্রবেশ মূল্য ছাড়া জাদুঘর, পার্ক, চিড়িয়াখানা, শিশুদের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
আর ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন ও সড়ক দ্বীপসমূহে আলোকসজ্জা শোভা পাচ্ছে।
এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
এসএস/আরবি/