পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। সেখানে টানটান উত্তেজনা চলছে।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো এসব সড়কে হাজার হাজার এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। সোমবার রাত ৮টা থেকে এলাকাবাসী গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে বেরিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। গভীর রাত পর্যন্ত অবরোধ বহাল রাখেন তারা।
পরাজিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের অভিযোগ, ‘প্রশাসন কারচুপি করে ফলাফল পাল্টে দিয়েছে। পুনরায় ভোট গণনার দাবি করে পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকরা দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন। ’
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ-টেকেরহাট সড়কের বৌলতলী, কংশুর এবং গোপালগঞ্জ-কোটালীপাড়া সড়কের কাঠি ও মাঝিগাতী নামক স্থানে প্রার্থীদের সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচনে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু ৩৭ হাজার ৬৫০ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. মাহমুদ হোসেন দিপু ৩৭ হাজার ৬২০ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহ আলম আনারস প্রতীকে ৩৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।
গোপালগঞ্জের ৫টি উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তবে নির্বাচিত সবাই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৯
আরএ