২২ তলা বিশিষ্ট এ ভবনের নির্মাণ কাজ করছিল ‘মেসার্স জি কে বিল্ডার্স’। ওই ভবনের নির্মাণ শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম পড়ে গিয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকই।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাশে নির্মাণাধীন ওই ভবন থেকে পড়ে নিহত হন আশরাফুল। ঘটনার পর পরই অন্য নির্মাণ শ্রমিক এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আশরাফুল নীলফামারী সদর উপজেলার রামগঞ্জ গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন মোবাইল ক্যামেরায় ওই শ্রমিকের ঝুলে থাকা এবং উদ্ধার কাজের ভিডিও ধারণ করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায় আশরাফুল ভবনের বাইরে চতুর্থ তলায় উল্টো হয়ে ঝুলে আছেন। তার শরীরে কোনো নিরাপত্তা বেল্ট দেখা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নিরাপত্তা বেল্ট থাকলে আশরাফুল পড়ে যেত না। অসাবধানতাবশত পড়ে গেলেও আটকে থাকতো।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, সচিবালয়ের ১১ নম্বর ভবনে কাজ করছিলেন আশরাফুল। এসময় অসাবধানতাবশত আশরাফুল পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত ওই শ্রমিকের ফুপাতো ভাই এবং নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ১৮ তলার ছাদে রডের কাজ করছিলেন আশরাফুল। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশরাফুল অষ্টম তলায় বাঁশের মাচাংয়ের উপর প্লাস্টারের কাজ করছিলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গাড়িচালক জুম্মন বাংলানিউজকে বলেন, হঠাৎ শব্দ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি ওই শ্রমিক পড়ে গিয়ে চতুর্থতলায় লোহার পাইপের সঙ্গে আটকে আছে। সেখানে তার থুতনির নিচ দিয়ে লোহার রড ঢুকে যায়। পরে অন্য নির্মাণ শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করেন। তার শরীরে কোনো নিরাপত্তা বেল্ট ছিল না।
এ ব্যাপারে কথা বলতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জি কে বিল্ডার্সের কাউকে সেখানে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ