ঢাকা, বুধবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

৩১ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত শুল্ক গোয়েন্দার বৈঠক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
৩১ মার্চ বাংলাদেশ-ভারত শুল্ক গোয়েন্দার বৈঠক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন শুল্ক গোয়েন্দার মহা পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চোরাচালান অর্থপাচার বন্ধে প্রথমবারের মতো ৩১ মার্চ (রোববার) থেকে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও ভারতের কাস্টমস গোয়েন্দা সংস্থার মহা পরিচালক পর্যায়ে বৈঠক।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠেয় এ বৈঠকে বাংলাদেশের সিআইআইডি’র ডিজিসহ ১৩ জন ও ভারতের ডিআরআই’র মুখ্য পরিচালকসহ আটজন অংশ নেবেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহা পরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল হাকিম, শামীমা আক্তার, যুগ্ম পরিচালক শাকিলা পারভীন প্রমুখ।

ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (সিআইআইডি) এবং ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) মহাপরিচালক পর্যায়ে প্রথমবারের মতো এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখন থেকে প্রতিবছর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর এ বৈঠক বাংলাদেশে। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ ভারতে ডিরেক্টরেট অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের মুখ্য মহা পরিচালক দেবী প্রসাদ দাস।

তিনি বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক উভয় দেশেই বাণিজ্য সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছে। আধুনিক কাস্টমস একদিকে যেমন দিন দিন আমদানি শুল্ক কমছে।

অপরদিকে জাতীয় নিরাপত্তা ত্বরিৎ খালাস, নিরাপদ, সীমান্ত, বিলুপ্ত প্রায় বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পারক্রুসার কেমিক্যালের অবাদ পরিবহন চলাচল মনিটরিংপূর্বক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, তথ্য সহযোগিতা ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা বা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বৈঠকে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে তথ্য আদান প্রদান শেয়ারিং’র মাধ্যমে চোরাচালান, অর্থপাচার, মানিলন্ডারিং, শুল্ক ফাঁকি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে। এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। যা পরবর্তীতে চুক্তি হিসেবে দু’দেশের প্রতিনিধির প্রধানরা সই করবেন।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্যক সম্পর্ক সব সময়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের পর ভারতের সঙ্গেই রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বানিজ্যিক সম্পর্ক। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বেনাপোল কাস্টমস হাউজসহ দেশের ৩১ স্থল শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চলমান রয়েছে। এছাড়া জলপথ, আকাশপথ, রেলওয়ে কার্গোর মাধ্যমে বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।