নৌবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার প্রথমে এফআরের পাশের ভবন আওয়াল টাওয়ারে গিয়ে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে ওই ভবনের ছাদ থেকে কয়েকজনকে তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
অক্লান্ত চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস। ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে এফআর টাওয়ার। পাশের একটি ভবনেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে আগুনের তীব্র ধোঁয়া আশপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। ধোঁয়া থেকেও এখন বড় ধরনের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। উদ্ধারকারীরা মাস্ক লাগিয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
আগুন থেকে বাঁচতে ভবনের নিচে নামার চেষ্টা করছেন আটকে পড়া বহু মানুষ। অনেকে জানালা দিয়ে গ্রিল ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নেমেছেন। আবার অনেকে বাঁচতে গিয়ে ভবনের ছাদে অবস্থান নিয়েছেন। অনেকে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত হয়েছেন একজন।
আটকে পড়া বহু মানুষ জানালা দিয়ে হাত বের করে তাদের বাঁচানোর আবেদন করেছেন। এই জানালাও আগুনে জ্বলতে শুরু হয়েছে এখন। এই মানুষগুলোর কী হবে তা, এখন আর বোঝা যাচ্ছে না। যদিও ছাদের কয়েকজনকে বাঁচানো গেছে।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট আগুন নেভাতে এবং আটকে পড়াদের উদ্ধারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করছেন।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট পৌঁছেছে। তবে সবগুলো ইউনিট কাজ করতে পারছে না। বেশ কয়েকটি ইউনিট তৎপরতা চালাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের আট ও নয়তলায় আগুন লাগে। এতে ওই ভবনে আটকা পড়েন বহু মানুষ।
ধারণা করে বলা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুন। তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরবি/টিএ