ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বন্ধু নয়, ভাইয়ের মতো

রাজশাহী: বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেবল বন্ধুত্ব নয়, ভাইয়ের মতো বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সহকারী হাই-কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি। 

তিনি বলেন, দু’দেশের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রাজশাহী থেকে সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত রেল ও বিমান চলাচলের প্রাথমিক কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

এছাড়া পদ্মায় নদীবন্দর গড়ে তোলার কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ-কলকাতা পণ্য পরিবহনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রুট হবে।  

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নগর ভবনে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষা‍ৎ শেষে দু’দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার।  

রাজশাহীতে নিযুক্ত সহকারী হাই-কমিশনার সঞ্জীব কুমার জানান, আন্তঃযোগাযোগের ক্ষেত্রে ভারত সরকার সবসময়ই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে আসছে। বিশেষ করে বাংলাদেশি মেডিকেল ভিসা প্রত্যাশীদের প্রতি তার সরকার খুবই আন্তরিক। কিন্তু আবেদনকারীদের অনেকেই সঠিক কাগজপত্র জমা না দেওয়ায় ভিসা পান না। তবে চাহিদা মতো সব ডকুমেন্ট থাকলে আটদিনের মধ্যেই ভিসা পাওয়া যাবে।

এদিকে, মতবিনিময়কালে রাজশাহী সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ-যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে তার সহযোগিতা কামনা করেন।  

মেয়র বলেন, চিকিৎসা ও দর্শনীয় স্থান সমূহে পরিদর্শনে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজশাহী থেকে ভারতে যান। কিন্তু রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ-যোগাযোগ নেই। আমি চাই, সরাসরি যোগাযোগ ব্যবস্থার।  

পদ্মা নদীতে ইতোমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে। নৌপথেও কম সময়ে আমরা ভারতে যেতে পারি।

এসময় ভিসা প্রক্রিয়া সহজকরণ ও বর্ডারে বাংলাদেশি মানুষের বিড়ম্বনা এড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান মেয়র।

রাজশাহী থেকে সরাসরি ট্রেন, বিমান ও নৌ-যোগাযোগের ব্যাপারে সঞ্জীব কুমার বলেন, রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হলে, কম সময়ের মধ্যে যাওয়া-আসা যাবে। তাই বিমান, ট্রেন ও নৌপথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি, এটি আমরা করতে পারবো।  

তিনি বলেন, রাজশাহীতে আরো ভালো ও বেশি পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠলে ভারত থেকেও এখানে পর্যটকরা আসবেন। তিনি ভারতীয় নাগরিকদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবেন। এসময় রাজশাহীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

আলোচনা শেষে ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনারকে শুভেচ্ছা উপহার দেন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। আর মেয়রকেও উপহার দেন সহকারী হাই-কমিশনার। এসময় রাজশাহীর সব উন্নয়নে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন তিনি।  

পরে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন ভারতের সহকারী হাই-কমিশনার। এসময় মেয়র লিটন তাকে বঙ্গবন্ধু কর্নার ঘুরে দেখান। পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে মন্তব্য লেখেন ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার।

এর আগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাজশাহীতে নব-নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই-কমিশনার। দুপুরে নগর ভবনে মেয়র দফতর কক্ষে সাক্ষাৎ করেন। সঞ্জীব কুমার ভাটি দুপুরে নগর ভবনে গেলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান সিটি মেয়র লিটন।

গত ২ মার্চ রাজশাহীতে নিযুক্ত হন ভারতীয় নতুন সহকারী হাই-কমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি। তিনি ওইদিনই রাজশাহীতে যোগদান করেন।  

এখানে কর্মরত সহকারী হাই-কমিশনার অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় অবসরে যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হন সঞ্জীব কুমার ভাটি। রাজশাহীতে থাকা সহকারী হাই-কমিশন অফিসে যোগদানের আগে সঞ্জীব কুমার ভাটি বেলজিয়ামে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।