বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এই অগ্নিকাণ্ডের পর সন্ধ্যায় ভবনটিতে কর্মরত ও উদ্ধারকাজে অংশগ্রহণকারী এক যুবক কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, আগুনের সূত্রপাত হয় এফ আর টাওয়ারে। এরপর আহমেদ টাওয়ারে নয়তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, আমি ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য। আমি আহমেদ টাওয়ারের জে টি কর্পোরেশনের অফিসের একটি ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ রুমে গিয়েছি তখন আমাকে শ্বাসকষ্টে থাকা অসহায় মানুষেরা বলেছে বাঁচান, বাঁচান! আমি ফায়ার সার্ভিসের যন্ত্রপাতি দিয়ে রুমের থাই গ্লাস ভেঙে সেখানে গিয়ে ফায়ার সেফটির সরঞ্জাম ব্যবহার করেছি। তখনই আমার হাত কেটে গেছে। তারপর তাদের নামিয়ে আনতে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছি। যার প্রধান কারণ ছিলো ওইসব তালা।
বেলা ১২টা ৫৫ মিনিটে বনানীর ১৭ নম্বর রোডের ২২ তলাবিশিষ্ট এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। এ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়েছে।
সবশেষ খবর অনুযায়ী, এফ আর টাওয়ারের আগুনের তীব্রতা একটু কমেছে। তবে পুরো টাওয়ার এখনও ধোঁয়াচ্ছন্ন। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএএম/আরআর