তিনি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকল মন্ত্রণালয়সহ সাধারণ জনগণও ব্যাপক সহায়তা করেছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হলো চিকিৎসা দেয়া।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
পড়ুন
>>হতাহত ও নিখোঁজদের তথ্য জানাচ্ছে পুলিশ কন্ট্রোল রুম
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দুপুরের দিকে বনানীর দুটি কমার্শিয়াল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট খুব দ্রুত গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সফলতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে। আর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দ্রুত সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং তারা কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন ছাড়াই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দিয়েছে। এছাড়া আমরা সকল হাসপাতালকে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিয়েছি যেন কোন রোগী ফেরত দেয়া না হয়।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সর্বদা এই ঘটনা মনিটরিং করছেন। উনি দ্রুত হেলিকপ্টার পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। আমাদেরও বলেছেন যেন চিকিৎসার কোনো ত্রুটি না হয়। ফায়ার সার্ভিস এর ইউনিট আগুন নেভানোর পর এখন প্রতিটি রুমে রুমে গিয়ে দেখছে কোন মরদেহ আছে কিনা। এই হাসপাতালে সর্বমোট ৪৫ জন আহত রোগী এসেছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন এবং কয়েকজন অন্য হাসপাতলে গেছেন।
‘যে ১২ জন এখানে আছে তারা কেউ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নেই। একজন বার্নের রোগী ছিলেন তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৫ জন ভর্তি হয়েছিল এর মধ্যে ২ জন চলে গেছে এবং তিনজনের চিকিৎসা চলছে, ইউনাইটেড হাসপাতাল হাসপাতালে ৯ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। সব হাসপাতালের হিসাব অনুসারে ১৩ টি মরদেহ রয়েছে এবং আহত রোগীর সংখ্যা ৯৫ জন। ’
নিহতদের শনাক্তের কাজ চলছে জানিয়ে দিনি বলেন, সরাসরি সনাক্ত সম্ভব না হলে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে তা করা হবে।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএএম/ইএস/এমএ