তিনি শহরের বালুয়াডাঙ্গায় অন্ধ হাফেজ মোড় বাঁধ সংলগ্ন মরহুম আবুল কাশেমের ছেলে। গ্রামের বাড়ি বিরল উপজেলায়।
বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) রাতে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার ভাই আব্দুলল্লাহ আল মামুন এফ আর টাওয়ারে অবস্থিত হেরিটেজ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ভবনে আগুন লাগার পর ফোনে বিষয়টি জানিয়েছিলেন তিনি।
পড়ুন>>বনানী অগ্নিকাণ্ড: ঢামেকে অজ্ঞাত পরিচয় নারীর মরদেহ
তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে তাহিয়া (১০) ও ছোট মেয়ে তানহা (৩)। তার স্ত্রীর নাম সানজিদা পারভিন।
জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ছেলে নিহত হওয়ার খবর পেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন আব্দুলল্লাহ আল মামুনের মা। তার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
মোশাররফ হোসেন জানান, এফ আর টাওয়ারের ১৩ তলায় হেরিটেজ ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়। ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে অন্যদের মতো আতঙ্কিত মামুনও নিচে নামছিলেন পাইপ বেয়ে। কিন্তু নবম তলায় এসে আটকে যান।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ইউনাইটেড হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মামুনকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ এখন ইউনাইটেড হাসাপাতালে রয়েছে।
নিহতের ভগ্নিপতি এম এ মজিদ বাংলানিউজকে জানান, মরদেহে বাড়ি আনার পর মামুনের প্রথম জানাজা শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১১টায় দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার কালিয়াগঞ্জ সংলগ্ন মিরাবনে অনুষ্ঠিত হবে।
আর দ্বিতীয় জানাজা হবে দক্ষিণ বালুয়াডাঙ্গা মিনার জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠে বাদ জুমা।
পরে দিনাজপুর শহরের ফরিদপুর কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে মামুনকে চিরশায়িত করা হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএ/