শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে নিহত আবীরের চাচা মোস্তাফিজার রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আনজির সিদ্দিক আবীর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম পৌরসভার আবু বকর সিদ্দিক বাচ্চুর ছেলে।
>> বেঁচে যাওয়া সেঁজুতির চোখে বনানীর অগ্নিকাণ্ড
মোস্তাফিজার রাহমান বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালেও বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন আবির। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর ভবনে আগুন লেগে গেলে আবারও ফোন করে বাড়িতে খবর দেন আবির। ফোন চালু রেখে ভবনের বাহিরে থাকা লোকদের কাছে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিল। মোবাইলে সবার কাছে দোয়া চায় আবির।
এর কিছুক্ষণ পর থেকে আবিরের ফোন বন্ধ হয়ে গেলে চরম আতঙ্কে পড়েন তার পরিবার। ছুটে যান রাজধানী ঢাকায়। খুঁজতে থাকেন বিভিন্ন হাসপাতালে। অবশেষে দিন শেষে রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে তাকে খুঁজে পান পরিবারের লোকজন। তবে জীবিত নয় মৃত। সেই হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে আবিরের মরদেহ।
মরদেহ হস্তান্তর হলে এবং পাটগ্রাম পৌঁছলে দাফনের সময় নির্ধারণ হতে পারে বলেও জানান নিহত আবিরের চাচা মোস্তাফিজার রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ের ১৭ নম্বর রোডের এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়ে বিকেল পৌনে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
জিপি