ঢাকা, রবিবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৯ মার্চ ২০২৫, ০৮ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

১৫ দিনের মধ্যে বহুতল ভবনের অবস্থা জানাবে রাজউক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
১৫ দিনের মধ্যে বহুতল ভবনের অবস্থা জানাবে রাজউক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর সব বহুতল ভবন যাচাই-বাছাই করে ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করতে ১৫ দিনের সময় চেয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ১৫ দিনের মধ্যেই ১৯৯৬ ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী নির্মিত প্রত্যেকটি ভবন যাচাই করে তথ্যগুলো মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা হবে। এ ক্ষেত্রে বনানীর অগ্নিকাণ্ড স্থলের ভবনগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এফ আর টাওয়ার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান রাজউক চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান।

আগুনের ঘটনার পর এফ আর টাওয়ারের যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এটি ১৯৯৬ সালের ইমারত বিধিমালা অনুযায়ী করা হয়েছে।

যেটি ২০০৬-০৭ সালের আগেই শতভাগ নির্মাণ শেষ হয়েছে। ওই বিধিমালা অনুযায়ী আমাদের তদন্ত কমিটি যাচাই-বাছাই করবে। তাদের তদন্তের ভিত্তিতে যার বিরুদ্ধেই সুপারিশ আসুক সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভবনগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে লেগে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তখনকার বিধিমালায় বাণিজ্যিক ভবনে সাইডব্যাক রাখার কোনো নিয়ম ছিলো না। ২০০৮ সালের নতুন ইমারত বিধিমালায় ভবনের চারপাশেই সাইডব্যাক রাখার কথা রয়েছে।

এ বিধিমালা অনুযায়ী যতো বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো ১৫ দিনের মধ্যে যাচাই করে কোন কোন ত্রুটি রয়েছে সেগুলো শনাক্ত করা হবে। বিশেষ করে ভবনগুলোর ফায়ার সেফটির কি অবস্থা সেটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। বাস্তবতা অনুযায়ী বাইরের দিকে সিঁড়ি কিংবা আরো কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় প্রয়োজনীয় সেসব কাজ করা হবে। আমরা সবার আগে ফায়ার সেফটির বিষয়টি কনফার্ম করতে চাই।

আমি মাত্র ১৫ দিন সময় নিলাম। এর মধ্যে প্রত্যেকটি ভবনেরর কোনটার কি সুবিধা নেই নম্বর দিয়ে দিয়ে ভবন মালিকসহ শনাক্ত করা হবে। এক্ষেত্রে এ এলাকার (বনানীর) ভবনগুলো প্রাধান্য পাবে। এর পর এসব তথ্য মিডিয়ার সামনে উপস্থাপন করা হবে।

১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ২৩ তলা ভবন বানানো হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এফ আর টাওয়ারের ফাইল ঘেঁটে ১৮ তলা ভবনে নকশা পাওয়া গেছে, যেটার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আরেকটি ২৩ ভবনের ড্রইং পেয়েছি, যেটির সত্যতা নেই।

এ নির্মাণটা অনেক আগের। তথাপি তদন্ত কমিটি বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে। সংশ্লিষ্ট কারও গাফিলতি থাকলে, তারা যেই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভবনের বাড়তি অংশ নির্মাণের বিষয়ে ভবনের মালিক রাজউকে আবেদন করেছিলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখানে ৪ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সময়ে এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।

এফ আর টাওয়ারে আগেও আগুন লেগেছিল, সেই সময় তদন্ত কমিটি সুপারিশও করা হয়েছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এ ধরনের কোনো বিষয় জানা নেই।

এফ আর টাওয়ারটি আর ব্যবহৃত হবে কি-না কিংবা এর বাড়তি অংশ ভেঙে ফেলা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা শনিবার (৩০ মার্চ) থেকে এখানে কাজ শুরু করবে। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ভেঙে ফেলা হবে কি-না কিংবা ভবনটি ব্যবহারের উপযোগি কি-না জানা যাবে।

টাকার বিনিময়ে ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়, একটা আগুনের ঘটনার ২৫ জন মারা গেলো। এ ক্ষেত্রে রাজউকের দায় রয়েছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজউকে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

** এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রণালয়ের কমিটির কাজ শুরু

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
পিএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।