জেলা প্রশাসনের পূর্ববর্তী ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের কামড়াপুর পয়েন্ট থেকে চৌধুরী বাজার পয়েন্ট পর্যন্ত এলাকায় অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছিন আরাফাত রানা এবং মো. আনিসুর রহমান খান।
ইয়াছিন আরাফাত রানা বাংলানিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রায় ৮৩টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত বাংলানিউজকে বলেন, অবৈধ দখলদাররা প্রতিরক্ষা বাঁধ ও নদীর জায়গা দখল করে রাখার কারণে প্রতি বছরই প্রতিরক্ষা বাঁধে ফাটলসহ ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয় শহরবাসীর। এ বছর যাতে করে এরকম অবস্থার সৃষ্টি না হয় তাই নদী পাড়ের অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য তোফাজ্জল সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, এই উচ্ছেদ অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা বারবার এ নিয়ে আন্দোলন করেছি। আরও যেসব স্থানে অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলোও উচ্ছেদ করতে হবে। পাশাপাশি নদীতে বর্জ্য ফেলে যে দূষণ চলছে তাও বন্ধ করার উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এনটি