শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ভিসি কর্তৃক দুঃখ প্রকাশের কাগুজে বিজ্ঞপ্তি পুড়িয়ে ফেলেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ‘প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করা হচ্ছে- রণসঙ্গীত, ব্যঙ্গ নাটিকা, কবিতা ও প্রতিবাদী গান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শুধু দুঃখ প্রকাশ করলে চলবে না। আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া এবং বক্তব্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ক্ষমা না চাইলে ভিসিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করাবেন বলেও হুমকি দিয়েছে তারা।
এদিকে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করায় তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ স্বৈরাচার ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিবৃতি দিয়ে ন্যায়ের পক্ষে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রতিবাদ করায় ভিসি ড. এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে তারা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এর মধ্যে ২৮ মার্চ থেকে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে হলেই অবস্থান করছেন তারা।
ঘটনার ধারবাহিকতায় শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসি অধ্যাপক ড. এসএম ইমানুল হকের পক্ষে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
তবে দুঃখ প্রকাশ করে ভিসির দেওয়া বক্তব্য ও আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ভিসি তার বক্তব্যের মাধ্যমে মিথ্যাচার করেছে বলেও অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৯
এমএস/এসএ/এসএইচ