পৌর টাউন হল রোডের বাসিন্দা স্কুলছাত্রী মম চৌধুরী বাংলানিউজকে জানায়, মশার উপদ্রবে পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে। ঘরে নবজাতক থাকায় কয়েলও জ্বালানো যাচ্ছে না।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে আসা রোকশানা আক্তার নামে এক নারী বাংলানিউজকে বলেন, তার সাত মাস বয়সী শিশুকে মশায় কামড় দিলে হাত ফুলে যায় এবং জ্বরে আক্রান্ত হয়। গত চার দিন ধরে জ্বর না কমায় ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি।
পৌরসভার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মশার উপদ্রবের মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের। পৌরসভার পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. দেবাশীষ দাশ বাংলানিউজকে বলেন, মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, ফাইলেরিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি হয়। এছাড়া কয়েল অথবা অ্যারোসলও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়ির আঙ্গিনা অথবা শহরের ড্রেন পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র দিলীপ দাস বাংলানিউজকে বলেন, শহরের ড্রেনগুলোতে ব্যাপক ময়লা-আবর্জনা থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়লা ফেলার জায়গা না থাকায় ড্রেন পরিষ্কার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিভিন্ন এলাকায় মশার ওষুধ ছিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
জিপি