রোববার (৩১ মার্চ) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের (সিআইআইডি) ১৩জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন; যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি ড. শহীদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈঠকে উভয় দেশেই বাণিজ্য সহজীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়া আলোচ্য বিষয় হবে জাতীয় নিরাপত্তা, তড়িৎ খালাস, নিরাপদ, সীমান্ত, বিলুপ্ত প্রায় বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পারক্রুসার কেমিক্যালের অবাধ পরিবহন চলাচল মনিটরিংপূর্বক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, তথ্য সহযোগিতার বিষয়টিও।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে চোরাচালান, অর্থপাচার, মানিলন্ডারিং, শুল্ক ফাঁকি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হবে।
এর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যা পরবর্তীতে চুক্তি হিসেবে দুই দেশের প্রতিনিধি প্রধানরা সই করবেন।
বাংলাদেশ-ভারত মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক সব সময়ই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীনের পর ভারতের সঙ্গেই রয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক সম্পর্ক। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বেনাপোল কাস্টম হাউজসহ দেশের ৩১ টি স্থল শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে বাণিজ্য চলমান রয়েছে।
এছাড়া জলপথ, আকাশপথ, রেলওয়ে কার্গোর মাধ্যমেও বাণিজ্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৯
জিসিজি/এমএ