ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাদেশ-ভারতের শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তি সই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৯
বাংলাদেশ-ভারতের শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার চুক্তি সই চুক্তিতে সই করছেন বাংলাদেশের সিআইআইডি মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের ডিআরআই মুখ্য মহাপরিচালক দেবী প্রসাদ দাস।

ঢাকা: চোরাচালান, জাতীয় নিরাপত্তা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে তথ্য আদান-প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতের শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে চুক্তিপত্রের খসড়া সই হয়েছে।

চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (সিআইআইডি) মহাপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম এবং ভারতের ডিরেক্টর অব রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের (ডিআরআই) মুখ্য মহাপরিচালক দেবী প্রসাদ দাস।

রোববার (৩১ মার্চ) দিনগত রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে এ চুক্তি সই হয়।

দু’দেশের শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থার মহা পরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের সিআইআইডির ডিজিসহ ১৩ জন এবং ভারতের ডিআরআইর মুখ্য পরিচালকসহ আটজন উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমাবারের মতো বাংলাদেশের সিআইআইডি এবং ভারতের ডিআরআই মহাপরিচালক পর্যায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, বর্তমান বিশ্বে তথ্যই হলো বড় শক্তি। তাই তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে দু’দেশের কাস্টমস ইনটেলিজেন্সের মধ্যকার এ দ্বিপাক্ষীক বৈঠক ।

বৈঠকে চোরাচালান, অর্থপাচর, মানিলন্ডারিং, শুল্ক ফাঁকি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধসহ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণসহ ইত্যাদি বিষয়গুলো উপর গুরুত্বারোপ করে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন’র দিকেই এগিয়ে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমেই সম্ভব চোরাচালান, জাতীয় নিরাপত্তা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ। তাই ডিজি পর্যায়ের এই বৈঠক এখন সময়ের দাবি। এ বৈঠকের মাধ্যমে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আমার একটি আধুনিক, সমৃদ্ধ, যুগোপযোগী, দক্ষ ও সক্ষম কাস্টস বিভাগ গঠন করতে পারবো বলে মনে করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ভারতের রিভিনিউ ইন্টেলিজেন্সের মুখ্য মহাপরিচালক দেবী প্রসাদ দাস বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বাণিজ্যিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনেক দিনের। এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারকরণের জন্যই প্রথম ডিজি পর্যায়ে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দু’দেশের বর্তমানে বাণিজ্যিক গ্রোথ ২৩ শতাংশ। আর বাণিজ্যিক ভলিয়ম ৮-১০ বিলিয়ন।

তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে ৩১টি স্থলবন্দর রয়েছে। এর প্রায় সব বন্দর দিয়ে চোরাচালান, মানিলন্ডারিং হয়। এই চোরাচালান বন্ধে তথ্য আদান প্রদান জরুরি। আমাদের সঙ্গে সার্ক চুক্তি আছে। সাসেক চুক্তিও আছে তা আরো কার্যকর করতে বাণিজ্য বাড়াতে হবে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, ট্রেড বেজড মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে কাস্টমস গোয়েন্দা, বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। চোরাচালানসহ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় এ দ্বিপাক্ষীক বৈঠক সময়ের দাবি। দু’দেশের আলোচনার মাধ্যমে ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত উঠে আসবে বলেও জানান তিনি৷

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।