এ বিষয়ে সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে স্থানীয় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নয়ন চন্দ্র দাস। এর আগে রোববার (৩১ মার্চ) দিনগত রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে উপজেলার ভোলাব এলাকায় তাদের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
নয়ন রূপগঞ্জের ভোলাব এলাকার মৃত অতীন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে ও মিষ্টি ব্যবসায়ী। নয়ন চন্দ্র দাসের সঙ্গে তার তিন ভাইয়ের বাড়িতেও একই সময়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
তারা হলেন-বাদল দাস চৌধুরী; তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি থাকেন, দোলন চন্দ্র দাস; তিনি ব্যবসায়ী এবং সুজন কুমার দাস; তিনি পুলিশে কর্মরত। এই তিনজনের কেউ-ই বাড়িতে থাকেন না।
জানা যায়, রোববার রাতে নয়ন চন্দ্র দাস, তার মা শৈলবালা দাস, তার স্ত্রী কমলা দাস, তার মেয়ে লোপা দাস, দীপ্ত দাস ও বাড়ির কেয়ারটেকার সুরুজ মিয়া বাড়িতে ছিলেন।
রোববার রাতে নয়ন ছাড়াও তার তিন ভাইয়ের ঘরের তালা ভেঙে লুটপাট করেছে ডাকাতদল।
বাড়ির কেয়ারটেকার সুরুজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, রাতে দেয়াল টপকে ১১ জনের একটি ডাকাতদল বাড়িতে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে আমি তাদের দিকে লাইট ধরি। এর মধ্যে ৪ জন মুখোশ পড়া ছিল।
‘এক পর্যায়ে আমায় বেঁধে এবং মুখে কাপড় দিয়ে দেয়। পরে বাড়িতে লুটতরাজ চালায় ডাকাত দল। ’
তিনি বলেন, ঘরে প্রবেশ করে নয়ন দাসকে গুলি করার ভয় দেখিয়ে তাকে দরজা খুলতে বলে। এ সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের জিম্মি করে ঘরে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় তারা।
‘এর আগে নয়নের তিন ভাইয়ের ঘরের তালা ভেঙে তাদের জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়। ডাকাতদের হাতে এ সময় বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রও ছিলো। ’
যোগাযোগ করা হলে ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। ডাকাতদের গ্রেফতার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এমএ/