সোমবার (০১ এপ্রিল) দুপুরে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আলেয়া খাতুনের ছেলে মিলন পাশা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মণ্ডল ছাড়াও ওই ইউনিয়নের দুই সদস্যকে আসামি করা হয়।
পরে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহারভুক্ত করতে চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।
আসামি আবদুল মতিন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিও। আসামি দুই ইউপি সদস্য হলেন- আরফান আলী ও হেলাল উদ্দিন লালন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রউফ পান্না বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে উমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিনের সঙ্গে ভিজিডি কার্ডের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে নারী সদস্য আলেয়া খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী সদস্যকে মারপিট করেন। এতে নারী সদস্যের বাম হাত ভেঙে যায়। এসময় স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে চৌহালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর হাসপাতাল ও সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৯
এসআরএস