মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) সকাল দশটা থেকে প্রেসক্লাবের সামনে সমিতির নেতারা মানববন্ধন করেন। একই সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন।
সংগঠনের সভাপতি মাওলানা হাফেজ কাজী ফয়েজুর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হতে হতে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাইমারি স্কুল জাতীয়করণ করে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২২ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পান। কিন্তু ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন ভাতা না পেয়েও বছরের পর বছর শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সংগঠনের মহাসচিব কাজী মোখলেসুর রহমান বলেন, ১৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২ হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। বাকি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষকরা ৩৪ বছর ধরে বেতন ভাতা হতে বঞ্চিত। এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে এটা অমানবিক। যা শিক্ষকদের অবমাননা ছাড়া কিছুই না।
তিনি বলেন, ১৫১৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নীতিমালা-২০১৮ এর আলোকে হালনাগাদ তথ্য নেওয়ায় সমিতির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। এখন আমরা ২০১৮ সালে করা সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে সারাদেশ থেকে আসা কয়েকশ’ শিক্ষক অংশ নেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা মো. শাহজাহান, এবিএম আব্দুল কুদ্দুস, আবু মুসা ভুইয়া, ইনতাজ বিন হাকিম, মো. শামছুল আলম, আব্দুর রাজ্জাক, নাসরিন বেগম, আলতাফ হোসেন, মোখলেসুর রহমান, রেজাউল করিম, আলাউদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, আছিয়া খাতুন, দফতর সম্পাদক ইনতাজ বিন হাকিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস