মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পৃথক স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চরজুবলী ইউনিয়নের উত্তর বাগ্গা গ্রামের সেকান্তর আলীর ছেলে রুবেল (২২), একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে রায়হান (১৮) ও মামালার ৪ নম্বর আসামি ইউছুফ মাঝির ছেলে আরমান হোসেন (১৯)।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে ভিকটিমের স্বামী শাহজাহান বাদী হয়ে আবুল বাসারকে প্রধান আসামি করে আট জনের নাম উল্লেখ্য ও অজ্ঞাতনামা আরও চার জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরদিন দুপুরে রামগতির রামদয়াল এলাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেল ও আরমান এবং হাজীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে রায়হানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, দুপুরে গ্রেফতার হওয়া আবুল বাসার ও ইউছুফকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মাসফিকুল হক বুধবার (৩ এপ্রিল) তাদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন।
নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে ডাক্তারি প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
৩১ মার্চ (রোববার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামী মোটরসাইকেলে করে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে উত্তর বাগ্গা এলাকায় তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২ জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে।
এসময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ছয় সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে তাকে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মাছের খামারে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। রাতেই ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
জিপি