অন্যদিকে, রাজনের অকাল মৃত্যু নিয়ে নানা গুজব রয়েছে। অথচ তার মরদেহে কোনো আঘাতে চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের পরনে কালো রংয়ের প্যান্ট, কোমরে বেল্ট এবং প্যান্টের নিজে আন্ডারওয়ার ছিল। মৃতের দুই হাত শরীরের দুই পাশ লম্বাভাবে খোলা অবস্থায় আছে। পা দুটো লম্বালম্বি। মৃতের মাথার চুল কালো ও কোঁড়ানো এবং দুই ইঞ্চি লম্বা। কান, নাক স্বাভাবিক, চোখ বন্ধ এবং স্বাভাবিক। বুক, পেট ও নাভী স্বাভাবিক। মৃতের প্যান্ট ও আন্ডারওয়ার খুলে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গও স্বাভাবিক। মৃতের শরীরের কোথাও কোনো দাগ দেখা যায়নি।
জানা গেছে, ডা. রাজনের মৃত্যু তাদের সাজানো সংসার তছনছ করে দিয়েছে। শোকাহত হয়ে খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ে ঘরের প্রতিটি কোনে তার প্রিয় মানুষটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এদিকে জামাতার মৃত্যুতে শোকাহত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি যেনে কোনোভাবেই অকালে তার মেয়ের এ অপূরণীয় ক্ষতি মেনে নিতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত নিজের মেয়েকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে চোখের জল ফেলছেন। অন্যদিকে ডা. রাজনের মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা করে চলেছে একটি গোষ্ঠী। তারা ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের নামে নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনছেন।
রাজনের পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ডা. রাজন কর্মকারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।
ডা. রাজনের পোস্টমর্টেম শেষে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া জানিয়েছেন, ডা. রাজনের পোস্টমর্টেম আমাদের এখানে সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ফরেনসিক বিভাগ তার পোস্টমর্টেম করেছে। তার শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিলো না।
এ বিষয়ে স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান বলেন, রাত পৌনে ৪টার দিকে ডা. রাজনকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর লাইফের কোনো সাইন পাওয়া যায়নি। তার শরীরে কোনো জখম ছিল না। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ রাত ৩টার দিকে ডা. রাজন কর্মকার হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রয়োজনীয় পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়াকে দায়ী করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৯
জিসিজি/ওএইচ/