মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা সদরের শহরতলী স্বনির্ভর বাজারে কোনো দোকানপাট খোলেনি। শহর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরবর্তী স্বনির্ভর বাজারে সুনসান নিরবতা দেখা গেছে।
একইভাবে স্বনির্ভর বাজার থেকে পানছড়ি পর্যন্ত আরও কয়েকটি ছোট ছোট গ্রামীণ বাজারের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
এদিকে দু’দিন ধরে এ সড়কে সাধারণ পাহাড়িদের গাড়ি তুলছে না গাড়ি স্টাফরা। এ সড়কে চলাচলকারী ছোট যাবাহনগুলোতে পাহাড়ি যাত্রী দেখা যাচ্ছে কম। এতে সাধারণ যাত্রীরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন।
পানছড়ি বাজারে সাধারণ পাহাড়িদের আসতে বাধা দেওয়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) ও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি স্বীকার করে ইউপিডিএফর (গণতান্ত্রিক) কেন্দ্রীয় সভাপতি শ্যামল কান্তি চাকমা (জলেয়া) জানান, ‘প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের পানছড়ি বাজার বয়কটের কারণে আমরা দুই সংগঠন মিলে(ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতি-এমএন লারমা) এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। ’
পানছড়ি বাজারের সুকতারা হোটেলে দুর্বৃত্তরা অবস্থান করছে। এমন অভিযোগে ইউপিডিএফের (প্রসিত)চাপের কারণে ২০১৮ সালের ২০ মে থেকে পানছড়ি বাজার বয়কট কর্মসূচি চলছে।
অপরদিকে দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে সাধারণ পাহাড়িদের বাজারে আসতে বাধা দেওয়ায় পানছড়ি বাজারের কয়েক’শ ব্যবসায়ী চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকেই ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মাঠে বসেছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাৎ হোসেন টিটো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকাল থেকে দোকানপাট খুলছে না। আমরা জনমনে যাতে আতঙ্ক তৈরি না হয় সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৯
এডি/এএটি