বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও বিছানা থেকে ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পশ্চিম কাঁচিকাটা এলাকায় লালটু মিয়া নামের এক এনজিও কর্মী স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে ফ্যানের সঙ্গে কাপড় দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় রেবা খাতুনের এবং পাশের বিছানায় ছেলে রাইয়ানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
তবে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গৃহকর্তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিহত রেবা খাতুনের স্বামী লালটু মিয়া উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পরিবার নিয়ে পশ্চিম কাঁচিকাটা গ্রামের মোহাম্মদ চোকদারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো. সোনাহর আলী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এবং ঘরের ভেতর থেকে আটকানো দরজা ভেঙে মরদেহ দু’টি বের করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সন্তানকে হত্যা করে মা নিজে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পরে আসল ঘটনা জানা যাবে। মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১৯
আরএ