শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার দীঘিরহাট বাজারে এ সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন।
সাজাপ্রাপ্ত নজরুল ইসলাম পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সীমান্ত সূত্রে জানা গেছে, চামড়া রক্ষায় ও পাচারের ঝামেলা এড়াতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা জীবিত গরু পাচার কমিয়ে গরুর মাংস পাচারের অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছেন। তারা ভারতের অভ্যন্তরে দিনে গরু জবাই করে মাংস বস্তায় ভরে রাতের আঁধারে দহগ্রাম আঙ্গোরপোতা এলাকা দিয়ে পাচার করেন। এরপর পিকআপ ভ্যানে করে পরদিন জেলার বিভিন্ন বাজারসহ রাজধানী ঢাকায়ও চলে যাচ্ছে এসব বাসি মাংস। যা স্থানীয় বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি এক থেকে দেড়শ’ টাকা কমে বিক্রি করছে চক্রটি। কম দাম পেয়ে এসব মাংস ক্রয় করছেন সাধারণ ক্রেতাসহ হোটেল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা।
এমন একটি গোপন খবরের ভিত্তিতে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন পুলিশ নিয়ে উপজেলার দীঘিরহাট বাজারে মাংসের দোকানে অভিযান চালান। এ সময় ভারতে জবাই করা গরুর মাংস পাইকারি সরবরাহ করার সময় হাতেনাতে বিক্রেতা নজরুল ইসলামকে আটক করে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
হাতীবান্ধা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত মাংস বিক্রেতা নজরুল ইসলামকে লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০১৯
আরএ