পারিবারিক সদস্যদের বরাত দিয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) দিনগত রাতে শামিম হোসেন তার স্ত্রী নার্গিসকে টাইগার নামে এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকে নার্গিসের বুকে জ্বালাপড়া শুরু হয়।
নার্গিসের বাবা মায়ের অভিযোগ, তিন দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় তার মেয়েকে মারপিটসহ শারীরিক নির্যাতন করে জামাই।
সেখান থেকে মেয়ে তাদের বাড়িতে চলে আসে। গতকাল সন্ধ্যায় জামাই শামিম তাদের বাড়িতে আসে। রাতে টাইগারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেয়েকে খাইয়ে দিয়ে তার বাড়িতে চলে যায়। বিষক্রিয়ায় সকালে নার্গিসের মৃত্যু হয়। তাদের অভিযোগ পরিকল্পিতভাবে বিষ খাইয়ে তাদের মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরেদহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মারপিট ও বিষের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তাকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পরই জানা যাবে।
এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্গিসের মৃত্যু রহস্যজনক বলে মনে হচ্ছে। তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
আরএ