গত ১ মার্চ (শুক্রবার) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ভরান মুন্সিপাড়া এলাকায় প্রিন্স মাহমুদ নাহিদ (২৫) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১।
শুক্রবার (০৫ এপ্রিল) ভোরে রাজধানীর খিলক্ষেত ও গাজীপুরের পূর্ব টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ও নিহত নাহিদের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ আলাউদ্দিন রাফিসহ (২৭) সাদ্দাম হোসেন (১৯) ও আহাদুল ইসলাম রনিকে (২০) আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, নিহত নাহিদ এবং আটক রাফি এক সময় খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রায় দুই বছর আগে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ার জের ধরে তাদের সম্পর্কের ফাটল ধরে এবং তাদের মধ্যে একবার মারামারি হয়। এরপর দুই বন্ধু দুইটি আলাদা গ্রুপ তৈরি করে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে।
গত ১ মার্চ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নাহিদের গ্রুপের ছোট ভাই রিফাতকে মারধর করেন রাফির গ্রুপের সদস্যরা। সন্ধ্যায় রিফাতকে দেখতে তার বাড়িতে যান নাহিদ। ওই বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর পূর্ব শত্রুতার জেরে রাফির নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে নাহিদকে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে রাফির নির্দেশে নাহিদের বুকে ছুরিকাঘাত করেন সাদ্দাম হোসেন। আহত অবস্থায় নাহিদকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার দিন ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব হলেও তাদের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাফির নেতৃত্বে নাহিদের উপর হামলা চালানোসহ তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
পিএম/এএটি