শনিবার (০৬ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে অগ্নি নিরাপত্তা সচেতনে সিটি করপোরেশনের ১০টি ‘ভবন পরিদর্শন দল’ এর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মেয়র। এসময় তিনি বলেন, যে ভবনে যারা চাকরি করেন তারা নিজেরাই সচেতন হয়ে দেখবেন, সে ভবনটিতে ফায়ার সেফটি আছে কিনা।
এসময় মেয়র আরও বলেন, ভবন পরিদর্শন দলগুলো ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত বহুতল ভবনে গিয়ে আগেই তৈরি করা একটি চেকলিস্টের মাধ্যমে ভবনের অগ্নিঝুঁকি পরীক্ষা করবে। কোনো ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তা যথেষ্ট না থাকলে সে ভবনের প্রবেশস্থলে ওই ভবনটির অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, সতর্ক থাকুন লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া ভবনে বসবাসকারী বা ভবন মালিককে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দু’টি করে দল গঠন করা হয়েছে। ডিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্য সমন্বয়ে প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য থাকবেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তরের ২০টি ভবনকে এ কার্যক্রমে ‘মডেল ভবন’ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে, যাতে অগ্নি নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত থাকবে। প্রথম পর্যায়ে সিটি করপোরেশন ভবনগুলোতে ফায়ার এক্সিট, ফায়ার ডোর ও নিরাপত্তাকর্মীদের ফায়ার ড্রিল (প্রশিক্ষণ) রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে।
এসময় জানানো হয়, প্রথম ধাপে ত্রুটি পেলে ভবন মালিকদের সতর্ক করবেন তারা। এরপরও কেউ ত্রুটির সমাধান না করলে সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. তারিক বিন ইউসুফসহ করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস