ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশালে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
বরিশালে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

বরিশাল: বরিশাল শহরে আক্তার ঝুমা (২২) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মে‌ডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হাসপাতাল থেকে মরদেহ ঘরে নেওয়ার পর আত্মগোপনে রয়েছেন মৃতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

ঝুমা শহরের বান্দ রোডের কেডিসি এলাকার মিলন হাওলাদারের স্ত্রী।

জানা যায়, সাত বছর আগে সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার খোরশেদ মীরের মেয়ে আমেনা আক্তার ঝুমার সঙ্গে শহরের কেডিসি এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে মিলন হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বুনিবনা হচ্ছিলো না। যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গৃহবধূর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।

ঘটনার দিন অর্থাৎ শুক্রবার দিনগত রাত ১১টার দিকে কেডিসি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে স্বামী মিলনের সঙ্গে ঝুমার ঝগড়া হয়। এ সময় ঝুমাকে মারধর করেন মিলন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝুমা ও তার স্বামী তাদের সন্তান নিয়ে বান্দ রোডে বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন ভাড়া বাসায় যান।

মৃতের ভাই মফিজুল ইসলাম বলেন, তার বোন ভাড়া বাসায় ভাত খাওয়ার মাঝখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এমনকি বমিও করেন। তখন স্বামী মিলন তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাইরে বেরিয়ে যান।

পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ঘোষণা করেন। মরদেহ ঘরে নেওয়ার পর পরই হাসপাতাল থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান তার স্বামীসহ অন্যরা।

কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ বলেন, এটি হত্যা কি না, সেটা এখনো আমরা নিশ্চিত নয়। তবে বিষক্রিয়ার কারণে গৃহবধূর হাতের আঙুল ও নখ হলুদ হয়ে গেছে। অবশ্য ঘটনার পর থেকে মৃতের স্বামী বা শ্বশুর বাড়ির কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন শেষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আপাতত এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃতের স্বজনদের অভিযোগ থাকলে তা লিখিতভাবে থানায় জমা দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ বা মামলা হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এমএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।