ঢাকা, শুক্রবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বরিশাল পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৯
বরিশাল পলিটেকনিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ .

বরিশাল: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে শিক্ষকদের দাবি ছাত্রদের দুই গ্রুপের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় ছয়জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা, আহত ছয়জনের মধ্যে রাব্বী গাজী নামে শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

এদিকে হামলার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরের বটতলা এলাকায় সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে এ হামলার ঘটনা ঘটে।  

আহতরা ছয় শিক্ষার্থীরা হলেন- বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাব্বী গাজী, সৈয়দ সাহরুল শান্ত, তানভীর, ট্যুরিজম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র ওমর, নাঈমুল ইসলাম ও মাহিন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীরা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সৈয়দ সাহরুল শান্ত, রাব্বি ও তানভির ক্লাস শেষে হোস্টেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শান্ত ও রাফিসহ ১০ থেকে ১২ জন বহিরাগত ক্যাম্পাসে ঢুকে ওই তিন শিক্ষার্থীকে ডেকে এনে মারধর করেন। এর প্রতিবাদ করেন ওই ছাত্রদের সহপাঠীরা। এমনকি তারা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিক্যালের চিফ ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমানের কাছে বিচার দিতে যান। এ সময় শিক্ষক আনিসুর তাদের অভিযোগ না শুনে বহিরাগতদের পক্ষ নিয়ে ওমর ও নাঈমলকে পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিক্যালের চিফ ইন্সট্রাক্টর আনিসুর বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগত নয়, বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। ছাত্ররা মহিন নামে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে। ভয়ে মহিন দৌড়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে পালিয়ে থাকে। পরে আমি ওই ছাত্রাবাস থেকে মহিনকে উদ্ধার করি।

তিনি বলেন, সাজ্জাদ নামে আমাদের সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। ঝামেলা সাজ্জাদের সঙ্গে নয়, ছাত্ররা নিজেরাই ঝামেলা করেছে। আমি তাদের থামাতে গেলে শিক্ষার্থীদের একপক্ষ আমার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে হামলার অভিযোগ সত্য নয়।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। এর জের ধরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।