শনিবার (৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তার স্বজনরা তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসে। বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ বক্সের (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, দগ্ধ ছাত্রীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ছাত্রীর শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ফেনীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢামেক হাসপাতালে আনা হয়।
ছাত্রীর ভাই বাংলানিউজকে বলেন, সকালে আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে তার বোন সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে যায়। পরে তার বোনকে ফুসলিয়ে অধ্যক্ষের নিয়ন্ত্রিত কয়েকজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার ছাদে তুলে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই ছাত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এর আগে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ২৭ মার্চ (বুধবার) ওই ছাত্রীকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগে অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ অধ্যক্ষের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে।
এদিকে আরেকটি অংশ তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৯
এজেডএস/এএটি