মঙ্গলবারের (৯ এপ্রিল) বিকেলও ভিজেছে একপশলা বৃষ্টিতে, সঙ্গে বয়ে গেছে দমকা হাওয়া। বৃষ্টির পরও মেঘে ঢেকে আছে আকাশ।
সকাল থেকেই চলছিল সূর্য আর মেঘের লুকোচুরি। কখনও রোদ কখনও মেঘলা আবহাওয়া। সঙ্গে পূবালী বাতাস। তবে ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ৪টা বাজতেই যেন সন্ধ্যা নেমে আসে পদ্মাপাড়ের এই জনপদে। দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়, চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
এতে নগরে খানিক স্বস্তি এলেও বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির পানিতে নিচু এলাকাগুলো জলমগ্ন হয়ে যায়। ফলে সাময়িক জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বৃষ্টির সময় সড়কে যানবাহন চলাচল কমে আসে।
জানতে চাইলে রাজশাহী পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২ মিনিট থেকে ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত নগর এলাকায় দমকাসহ বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় ১০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ২০ নটিক্যাল মাইল। যা মাত্র ৩০-৪০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। আর এমন দমকা হাওয়া দুই মিনিটের কম স্থায়ী হলে তা ঝড় হিসেব ধরা হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ এবং বিকেল ৫টায় ৯৫ শতাংশ। আকাশে পর্যাপ্ত মেঘ রয়েছে। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। এর আগে গত ৮ এপ্রিল রাজশাহীতে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়া কর্মকর্তা।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৯
এসএস/জেডএস