বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক মো. আব্দুস সোবহান।
এছাড়া সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী নারী-পুরুষের ঢল নামে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে ওঠে আনন্দ-উল্লাসে।
বর্ষবরণে এবার ঘোড়া, হাতি ও ময়ুরের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। ঘোড়ার প্রতিকৃতি ‘গতি’র বার্তা বহন করবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে ঝিমিয়ে থাকা বাংলাদেশে অর্থনীতির বর্তমান গতিকে উপস্থাপন করবে। আর ময়ুরের নাচ ও রঙিন পালক উৎসবের আমেজকে নির্দেশ করবে। হাতির প্রতিকৃতি বাংলাদেশের ধাবমান বৃহৎ অর্থনীতির প্রতীক হিসেবে বার্তা বহন করবে।
সকাল থেকে ঢাক-ঢোল আর গান বাজনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো রাবি ক্যাম্পাস। বিভিন্ন বিভাগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বের করা হয় শোভাযাত্রা। কৃষক, জেলে, সাপুড়েসহ বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয়ে পুরো ক্যাম্পাস মাতিয়ে তোলেন শিক্ষার্থীরা। কেউবা আবার সাজেন বর-কণে, যা এক ভিন্নমাত্রা এনে দেয় পুরো ক্যাম্পাসে।
শোভাযাত্রা শেষে চারুকলা অনুষদ চত্বরে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয় বিভিন্ন লোকসঙ্গীত, নাটক, নাচ, যন্ত্রসঙ্গীত ও কবিতা আবৃতি।
পুরাতন বছরের গ্লানি ভুলে নতুনকে সাদরে বরণ করে নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বের করে শোভাযাত্রা। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে শোভাযাত্রা বের করে আইন, ইতিহাস, পরিসংখ্যান, দর্শন, নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগ, বাংলা, ইংরেজি, ফলিত গণিত বিভাগসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সবকটি বিভাগ। চারুকলা অনুষদ চত্বর, পুরাতন ফোকলোর চত্বর, টুকিটাকি চত্বর, শহীদুল্লাহ ও কলাভবন চত্বরসহ লোকারণ্য হয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাস, যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।
রাবি শিক্ষার্থী রাহিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসকে আজ ভিন্ন রূপে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগছে।
বর্ষবরণের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ নজরদারির। আশা করছি প্রতিবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে বৈশাখ উদযাপিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০১৯
এসআরএস