শুত্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে সড়ক ও জনপদ রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় চত্বরে এ গণশুনানির আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
শুনানিতে অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষ, ঠিকাদার, বিআরটিএ ও বিআরটিসির কর্মরত-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
গণশুনানি চলাকালে রাজশাহীতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়, পাশাপাশি রাজশাহী এবং পাবনায় বিআরটিএতে পরিবহনের ফিটনেস ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সের নামে হয়রানিসহ ঘুষ-বাণিজ্য, রাস্তায় ট্রাকের কাগজ তল্লাশির নামে পুলিশের বাণিজ্য, রাজশাহীতে বৃক্ষরোপনের নামে সরকারি অর্থ লোপাট, সড়ক ও জনপদ বিভাগের গাড়ি মেরামতের নামে লুটপাটসহ নানা অভিযোগ উঠে আসে। সেইসঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভালো কাজ হচ্ছে বলেও বক্তারা অভিমত পোষণ করেন।
এসময় রাজশাহীর বাস মালিক সমিতির বাধার কারণে রাস্তায় বিআরটিসির গাড়ি নামানো যায় না বলেও অভিযোগ করা হয়। বিআরটিসির বগুড়া ডিপোর ম্যানেজার (প্রশাসান) মফিজ উদ্দিন ও পাবনার ম্যানেজার (প্রশাসন) মোশাররফ হোসেন বলেন, বিআরটিসির সরকারি গাড়ি চালাতেও রাজশাহীর বাস মালিক সমিতির অনুমতি লাগে। তারপরেও তাদের বাধায় রাস্তায় গাড়ি নামানো যায় না বলেও শুনানিতে অভিযোগ করা হয়।
এসময় তাদের অভিযোগের কথা শুনে এসব ব্যাপারে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও সড়কে উন্নয়নমূলক কাজ যথা সময়ে শেষ করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন সচিব। অন্যদিকে নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলার জন্য সড়কের দু'পাশে উপযুক্ত স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সাইন, সিগন্যাল, জেব্রাক্রসিং এবং অন্যান্য নির্দেশনামূলক চিহ্ন বসানোর ওপর জোর দেন সড়ক পরিবহন সচিব।
এছাড়াও রাজশাহী জোনের সড়কগুলোয় দুর্ঘটনা কমাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সবার প্রতি আহ্বান জানান সচিব নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৯
এসএস/আরবি/