রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে কমলনগর উপজেলার চর ফলকন ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওর্য়াডের আইয়ুবনগর এলাকার একটি সয়াবিন ক্ষেতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের ওই তরুণীকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অগ্নিদগ্ধ তরুণী চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার সোনাগাজী গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে।
অভিযুক্ত সালাহ উদ্দিন চর ফলকন গ্রামের মহর আলীর ছেলে। তার বাড়ি নদীতে ভেঙে যাওয়ায় আইয়ুবনগর এলাকায় ঘর জামাই থাকেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি রিকশা চালক।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ ওই তরুণী
বাংলানিউজকে বলেন, মোবাইলে তার সঙ্গে সালাহ উদ্দিনের পরিচয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সালাহ উদ্দিন প্রথম স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রাখেন। বিষয়টি জানতে পেরে আমি চট্টগ্রাম থেকে কমলনগরে এসে স্ত্রীর স্বীকৃতি চাইলে সালাহ উদ্দিন কেরোসিন তেল দিয়ে আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফিজ উল্লাহ ও গ্রাম পুলিশ আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, স্থানীয়রা ওই তরুণীকে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলে। পরে ওই তরুণী রিকশায় করে বাজারে গিয়ে কেরোসিন নিয়ে সালাহ উদ্দিনের বাড়ির পাশের একটি সয়াবিন ক্ষেতে গিয়ে নিজের তার শরীরে আগুন দিয়ে একটি গোয়াল ঘরে গিয়ে বসে। ওই সময় এলাকার নারীরা ছুটে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভায়।
ইউপি সদস্য আরও জানান, ঘটনার শুরুর দিকে তরুণী বলেছেন সে নিজে তার শরীরে আগুন দেয়। আবার হাসপাতাল আসার পর বলছে স্বামী আগুন দিয়েছে। বিষয়টি রহস্যজনক।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই তরুণীর ব্যাগ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গেছে। তিনি কেরোসিন নিজেই বহন করেছেন বলে মনে হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন তিনি নিজেই নিজের গায়ে আগুন লাগিয়েছেন। তবে সত্য উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসআর/এনটি