তিনি মহানগরের কাটাখালী থানার কিসমত কুখণ্ডী এলাকার বাসিন্দা সঞ্জুর স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে খবর পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বাংলানিউজকে জানান, পনেরো বছরের কিশোর অনীক আয়েশার ছেলে। কয়েকদিন আগে অনীক তালাইমারি এলাকার এক দোকানে থেকে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে সাউন্ড বক্স তৈরি করতে দিয়েছিল। এরইমধ্যে সে অগ্রিম পাঁচ হাজার টাকাও পরিশোধ করেছে। বাকি ২৫ হাজার টাকার জন্য মা আয়েশাকে চাপ দিয়ে আসছিল। কিন্তু আয়েশা ওই সাউন্ড বক্স না কেনার জন্য ছেলেকে বার বার অনুরোধ করলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছেলেকে টাকা দিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আয়েশা।
এ নিয়ে মা-ছেলের মধ্যে কথা কাটাকাটিও হয়। এর জের ধরে অনীক বাড়ি ছেড়ে তার খালার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। পরে ছেলেকে ফেরাতে আয়েশা অনেক চেষ্টাও করেন। কিন্তু মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও ছেলে তার ফোন রিসিভ করেনি। সবশেষ সোমবার (৬ মে) রাতে আয়েশা-সমজান ওরফে সঞ্জু দম্পতি ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর গভীর রাতে স্বামীর পাশ থেকে ওঠে অন্য ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দেন তিনি। পরে মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে নিহত আয়েশার মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/