ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় জনপ্রিয় ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৯
অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় জনপ্রিয় ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’

রাজশাহী: অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে দিল্লির শাহী ফিরনি। শুরুটা হয়েছিল ৬৮ বছর আগে। যার ঐতিহ্য এখনও রয়েছে অক্ষুণ্ন। অমৃত স্বাদের বারতা দিয়ে যাত্রা চলেছে শত বছরের পথে। 

বলছিলাম রাজশাহী মহানগরের রহমানিয়ার ‘দিল্লির শাহী ফিরনি’র কথা। এক নামেই যার পরিচিতি।

তাই প্রতি বছর রমজান মাস এলে রহমানিয়ার শাহী ফিরনি ছাড়া রাজশাহীর অনেক মানুষের ইফতারে যেন আজও পরিপূর্ণতা আসে না।  

জানতে চাইলে রাজশাহী রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী রহমানিয়া হোটেলের মালিক রিয়াজ আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, আজ থেকে প্রায় ৬৮ বছর আগে ১৯৫১ সালে আমার দাদা আনিসুর রহমান খান ভারত থেকে সুস্বাদু এ খাবারটি রাজশাহীতে নিয়ে এসে প্রচলন শুরু করেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত শাহী ফিরনির কদর এক রত্তিও কমেনি।

যুগের পর যুগ ধরে স্বাদের ঐতিহ্য বহন করে আসছে এ শাহী ফিরনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্বাদ গ্রহণ করে চলেছে রহমানিয়ার এ ফিরনির। সে সময় মূল্য ছিল ছয় আনা। আর এখন ১৫ টাকা। তবে স্বাদের তুলনায় এ দাম যুগ হিসেবে এখনও অনেক কম।  

রিয়াজ আহমেদ বলেন, দুধ, পোলাওয়ের চালের গুড়সহ বিভিন্ন উপাদান দিয়ে এ শাহী ফিরনি তৈরি করার পর মাটির পাত্রে করে জমিয়ে রাখা হয়। পরে তা বিক্রি করা হয়।  দিল্লির শাহী ফিরনি কিনতে দোকানে ক্রেতাদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজতবে আগে প্রতিদিন পাওয়া গেলেও বর্তমানে রমজান ও বিশেষ অর্ডার ছাড়া এ শাহী ফিরনি তৈরি করা হয় না। স্বাদ ও গুণে অতুলনীয় এ ফিরনির জন্য রোজাদারদের মধ্যে প্রচুর চাহিদা। তাই প্রথম রমজান থেকেই তালিকার শীর্ষে রয়েছে এ আইটেম। নাম-ডাক থাকায় ভারতের রাজধানীতেও এ ফিরনির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।   

তিনি জানান, রমজান মাসে শাহী ফিরনি তাদের সেরা আকর্ষণ। এছাড়াও রমজানজুড়ে রহমানিয়া হোটেলে ইফতারের বিশাল আয়োজন রয়েছে। রহমানিয়ার ইফতারের প্রতি প্যাকেটে থাকছে- বুট, খেজুর, পেয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, সমুচা, কলা, শসা, মুড়ি, কাঁচা বুট এবং নিমকপাড়া। যার মূল্য ৫০ টাকা।  

এছাড়া খাসির তেহেরি হাফপ্লেট ৬০ টাকা, চিকেন বিরিয়ানি হাফপ্লেট ১শ’ টাকা, কাচ্চি ১০০ টাকা, শিক কাবাব ৩০ টাকা, কাটি কাবাব ১৫ টাকা, চিকেন কাবাব ৩০ টাকা, চিকেন টিক্কা ২০ টাকা, চিকেন সাসলিক ২৫ টাকা, ক্রিসপি চিকেন ৬০ টাকা, গ্রিল চিকেন ৮০-৩২০ টাকা, শামী কাবাব ৫০ টাকা, সমুচা খাসির (কিমা) ৬ টাকা, শাহী পেয়াজু ৫ টাকা, কোপ্তা ৫ টাকা, ঘি দেওয়া স্পেশাল হালিম ৮০-১৪০ টাকা, সিঙ্গারা ৫ টাকা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি ১২০-২০০ টাকা, জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এসএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।