রোববার (২৬ মে) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
এলাকার উন্নয়নের নতুন কিছু করতে চাইলে তার জন্য সঠিক স্থান খুঁজে দেওয়ার দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদেরই এই কথা স্মরণ করিয়ে ওই স্ট্যাটাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন, রাজশাহীতে যারা বেড়ে উঠেছেন তাদের পদ্মানদীর সঙ্গে একাটা আত্মার সম্পর্ক আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো প্রতিষ্ঠান জনগণের চাওয়ার বিপরীতে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। একইসঙ্গে এখানকার প্রতিটি রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোও আমাদের অনেক গর্বের। প্রয়োজনে তাদের দেখভাল করাও সবার কর্তব্য। নতুন কিছু করতে চাইলে তার জন্য সঠিক জায়গা খুঁজে দেওয়া আমাদের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব। কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি রাজশাহীতেই হবে, তবে নতুন কোনো স্থানে। মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ তাকে আমি দিয়েছি। ইনশাআল্লাহ সেই অনুযায়ী কাজ হবে।
এদিকে, প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহীর এই সংসদ সদস্যের দেওয়া স্ট্যাটাসে রাজশাহীর মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ফেসবুকে তারা অভিনন্দন জানিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে।
এর আগে রাজশাহীর পদ্মানদীতে জেগে ওঠা বিশাল চরে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের পেছনে ১শ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, শহর রক্ষা বাঁধ পেরিয়ে নদী অভ্যন্তরে জেগে ওঠা চরে কারা প্রশিক্ষণ একাডেমির কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। এরপর পরই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়ে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন। এরপরও কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে দখল প্রক্রিয়া চলতে থাকে।
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ ঘেঁষা নদীর চর দখল করে কারাগারের কর্মীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ শুরু করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের সীমানায় থাকা বহু শতবর্ষী গাছ কেটে ফেলে। এনিয়ে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষে পর্যন্ত অবশিষ্ট গাছগুলো কাটা বন্ধ করতে বাধ্য হয় কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০১৯
এসএস/এএটি