শুধু গাড়ি ব্যবহারই নয়, ফেনসিডিল চোরাচালন চক্রে গাড়ি চালকদের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে র্যাব। তারা রাইড শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো।
শনিবার (০১ জুন) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাইড শেয়ারিং অ্যাপস পাঠাও এবং উবারের চালকসহ ফেনসিডিল চোরাচালান চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-১।
আটকরা হলেন- শিবু বর্মন (৪৫), রসেন বর্মন (২০), নূর ইসলাম (৩০), লোকমান হোসেন (২৪), জিহাদ হোসেন (২০) ও সাদ্দাম হোসেন (৩০)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮৫৮ বোতল ফেনসিডিল, ৯টি মোবাইল ও নগদ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি মো. কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর শালিকচূড়া এরশাদনগর এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালনসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটকরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিলের চালান এনে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছিলো।
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, শিবু বর্মন পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে ফেনসিডিল বহন করে ঢাকায় নিয়ে আসতো। চালানপ্রতি ২০ হাজার টাকা পেতো। রসেন বর্মন ট্রাকের হেলপার হিসেবে কর্মরত। সে গ্রামে কৃষিকাজের ফাঁকে শিবু বর্মনের সঙ্গে মাদক পরিবহনে সহযোগী হিসেবে কাজ করতো।
নূর ইসলাম ফেনসিডিলের চালানটি টঙ্গী এলাকা থেকে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন। সে গুলিস্থানে মুক্তিযোদ্ধা ক্লাবে জুয়ার বোর্ড দেখাশোনা করে এবং মাদক ব্যবসায় জড়িত।
আটক লোকমান হোসেন পেশায় পাঠাওয়ের চালক। সে এইচএসসি পাস করে ঢাকায় পাঠাও গাড়ি চালানোর পাশাপাশি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। লোকমান তার সহযোগী জিহাদ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ফেনসিডিলের চালান রিসিভ করতে গিয়েছিলেন।
আটক সাদ্দাম হোসেন উবারের গাড়ি চালক। তার গাড়িতে করেই চালান রিসিভ করতে আসেন লোকমান ও জিহাদ। সাদ্দাম উবারের গাড়ি চালনার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
পিএম/জেডএস