আদালতের নির্দেশে শনিবার (১ জুন) টেকনাফের এ তিন ইয়াবা কারবারীর দোতলা বিলাসবহুল বাড়িটি জব্দ করা হয়।
যাদের বাড়ি জব্দ করা হয়েছে তারা হলেন, টেকনাফের নাজিরপাড়ার এজাহার মিয়া (৭০) এবং তার দুই ছেলে নূরুল হক ভুট্টো (৩২) ও মৃত নূর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত টেকনাফের নাজিরপাড়া এলাকায় ইয়াবা কারবারীর বিলাসবহুল বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ির সদস্যদের বের করে দিয়ে ওই তিন ইয়াবা ডনের দোতলা বাড়ি এবং বাড়ির ভেতরে থাকা সব ধরনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল জব্দ করা হয়। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের নির্দেশে এই প্রথম তিন শীর্ষ ইয়াবা কারবারীর একটি বিলাসবহুল দোতলা বাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এই বাড়িটি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
তিনি বলেন, যাদের বাড়িটি জব্দ করা হয়েছে, তারা এক সময় রিকশা ও ভ্যানচালক ছিলেন। এখন তারা সবাই কোটি টাকার মালিক।
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ আরও বলেন, শুধু এরা নন। টেকনাফ সীমান্তে লবণ চাষি, দিনমজুর, রিকশা ও ভ্যানচালকরা মরণ নেশা ইয়াবা বেচাকেনা করে আলিশান সব বাড়ি বানিয়েছেন। সারাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে এসব বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান তারা। আবার অনেকে গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশনা পেলে পর্যায়ক্রমে এসব বাড়িও জব্দ করা হবে।
জানা গেছে,পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির দায়ের করা একটি মামলায় গত ২৩ মে এসব ইয়াবা কারবারীর সম্পতি জব্দ করার নির্দেশ দেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ।
মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় মানি লন্ডারিং আইনে দায়ের করা টেকনাফের কোনো মামলায় এই প্রথম আদালত এ ধরনের আদেশ দিয়েছেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, জব্দ করা বাড়ির লোকজনকে বের করে দিয়ে বাড়িটি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, জব্দ করা সম্পদের মূল্য ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা হবে।
আদালতের নির্দেশনা মতে, এখন থেকে এসব সম্পত্তি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৭ ঘণ্টা, জুন০১, ২০১৯
এসবি/এএটি