রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
আলোচনার শুরুতেই আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কীর কথা উল্লেখ করে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুই প্রথম গ্রেফতার হন। এর আগে ভাষা আন্দোলনে কেউ গ্রেফতার হননি। জেলে থেকেও তিনি ভাষার জন্য অনশন করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি যখন সালাম, বরকতরা শহীদ হন তখন বঙ্গবন্ধু জেলে অনশন করছিলেন।
‘বঙ্গবন্ধু যুক্তফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন। বঙ্গবন্ধু সময়-সুযোগ খুঁজছিলেন। পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ অরক্ষিত ছিলো। এই সময় বঙ্গবন্ধু লাহোরে ৬ দফা প্রস্তাব করেন। তখন আইয়ুব খান পাগল হয়ে দমন নির্যাতন চালাতে শুরু করে, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে। ’
তিনি বলেন, অনেকে স্বাধীনতার ঘোষক হতে চায়, জাতির পিতা হতে চায়। কিন্তু বাংলাদেশের নামটাও বঙ্গবন্ধু নিজে দিয়ে জনগণকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। এই যে ছাত্র ইউনিয়ন- মতিয়া গ্রুপ, মেনন গ্রুপ, এনএসএফ বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করতো। মতিয়া গ্রুপ অবশ্য বিরোধিতা করতো না। এই মেনন গ্রুপ বিরোধিতা করতো, আজ তারা বঙ্গবন্ধুও বলে না।
‘মোশতাক-জিয়া রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করে। তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বন্ধ করে দেয়। হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলো বলেই তারা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজ বন্ধ করে দেয়,’ বলেন শেখ সেলিম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
এসকে/এমএ