সুন্দরবনকে ঘিরে বড় বড় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া বড় ধরনের অযোগ্যতার প্রমাণ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সবশেষ সুপারিশ, বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সুলতানা কামাল বলেন, আগামী ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই আজারবাইজানে ইউনেস্কো বিশ্বঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় বিশ্বঐতিহ্য কেন্দ্রের সুপারিশগুলোর ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুন্দরবন বিষয়ে কেন্দ্রের সুপারিশ যদি চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করে তাহলে ‘সুন্দরবন’ তার বর্তমান ঐতিহ্যের সম্মান হারাবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ তার সম্মান হারাবে। আর বিশ্বে দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অযোগ্যতা, ব্যর্থতা, লজ্জার ও অপমানকর হবে। এর দায়-দায়িত্ব অবশ্যই সরকার প্রধান এড়াতে পারবেন না।
তিনি বলেন, আমরা সবাই জানি আমাদের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন এখন ধ্বংসের সর্বোচ্চ হুমকির মুখে। এর নানা কারণের মধ্যে রয়েছে নদী বিনষ্ট ও জলবায়ু পরিবর্তন, জলোচ্ছ্বাস, চিংড়ি চাষ ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা, পশু শিকার, গাছ কাটা, অপরিকল্পিত পোল্ডার ও মাছ শিকার ধ্বংসাত্মক উন্নয়ন ও বন দখল। সবশেষ বন ধ্বংসাত্মক উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে গড়ে ওঠা ১৩২০ মেগাওয়াট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। সংবিধানে সবকিছু জনগণের মতামত নেওয়ার কথা বলা হলেও এ প্রকল্পটির অনুমোদন জনমতের ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এ হিসেবে এটা একটি অসাংবিধানিক প্রকল্প, যা আমাদের সুন্দরবন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবে।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. আব্দুল মতিন বলেন, সুন্দরবন এলাকায় উন্নয়নের নামে ধ্বংস চলছে। আমরা সবাই উন্নয়ন চাই, তাই বলে পরিবেশ ধ্বংস করে, বন ধ্বংস করে সে প্রকল্প চাই না। আমরা কেউ বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিরুদ্ধে না। আজ ব্যাংক উজাড় করে সুইস ব্যাংকে টাকা রাখা হচ্ছে সেদিকে কারো নজর নেই। আবার আমরা বন ধ্বংসের বিষয়ে প্রতিবাদ করলে নেতিবাচক কথা বলা হয়। এটা হাস্যকর, লজ্জার।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স, শাসমুল হুদা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
ইএআর/এএ