রোববার (৭ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার (ডিসি) ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হারুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা মূলহোতা হারুনকে শনাক্ত করার কথা জানান।
তিনি জানান, ওই ভবন ও আশপাশের ভবনের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। পরে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে এবং ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হারুনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ওই ভবনের একটি ফ্লোরে হারুনের ভাই বসবাস করেন। এজন্য হারুন প্রায়ই ওই বাসায় আসা-যাওয়া করতেন।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীতে সেই ভবনের নয় তলার খালি ফ্ল্যাট থেকে শিশু সামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ভবনের ছয়তলায় শিশু সায়মা তার পরিবারের সঙ্গে থাকতো। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে খেলা করতে বাসা থেকে বের হয় সায়মা। এরপর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সায়মার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর তার গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটির মুখে কামড়ের দাগ পাওয়া গেছে। এছাড়া তার ‘হাই ভ্যাজাইনাল সয়াব’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/