পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য মতে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৮৫ মিলিমিটার।
এদিকে, হাওরাঞ্চলে পানি বাড়ার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার ১৩ হাজার ১শ’ পরিবার।
সুনামগঞ্জ শহরের নবীনগর এলাকায় একটি বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট এলাকার নন্দন রায় বাংলানিউজকে বলেন, আজ ছয়দিন হল
পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছি। আমাদের এখানে এখনো কোনো রকমের ত্রাণ আসেনি। পরিস্থিতি এতোই খারাপ যে বাইরে গিয়ে খাবার নিয়ে আসবো, তাও সম্ভব হচ্ছে না।
শহরের নবীনগর এলাকার বাসিন্দা দিলাল আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢল ও সুরমার পানি বাড়ায় আমাদের এখানকার একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে এ বাঁধ দিয়ে নবীনগর থেকে শুরু করে তিনটি ইউনিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় সুরমার পানি বাড়েনি। কিন্তু সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় পানি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, জেলার সব জায়গায় আমাদের জরুরি টিম গঠন করা হয়েছে। যেসব এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে শুকনা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসআরএস