রোববার (১৪ জুলাই) ভোরে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যায় এ ঝড়।
নিহত আলেজা বেগম উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের শৌলমারী গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে উপজেলার দহগ্রাম, পাটগ্রাম, বুড়িমারী ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে অনেক ঘর-বাড়িসহ গাছপালা উপড়ে যায়। এসময় গাছচাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই আলেজা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়।
ঝড়ের সময় ঘর ও গাছচাপা পড়ে এবং বিভিন্নভাবে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে অনেকেই পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। হঠাৎ করেই ঝড়ের আঘাতে ওই সব এলাকার বেশির ভাগ ঘর বিধ্বস্ত হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। বর্তমানে বহু পরিবার খোলা আকাশের নিচে রয়েছে।
ঝড়ের বর্ণনা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকজন জানান, তারা কেউ কিছু বোঝার আগেই দেখতে পান, তাদের মাথার ওপর থেকে বসতঘর উড়ে গেছে। কারও কারও বসতঘর ৬-৭শ’ মিটার দূরে ধান ক্ষেতে গিয়ে পড়েছে।
এদিকে খবর পেয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম সাত্তার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরির্দশন করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে আসা ঝড়টি দহগ্রাম, পাটগ্রাম, বুড়িমারী ও শ্রীরামপুর ইউনিয়নে আঘাত হানে। এ সময় শ্রীরামপুরে একটি ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়লে আলেজা বেগম নামে এক নারী নিহত ও তার দুই নাতি আহত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভেঙে ও গাছ পড়ে অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আহসান হাবীব বলেন, পাটগ্রামে ঝড়ের আঘাতে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা যথাসাধ্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আরএ