রোববার (১৪ জুলাই) সকালে চাঁদপুর শহরের মিশন রোড এলাকায় চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।
এর আগে ভোরে স্ত্রী বেবীকে নিজ বসতঘরে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন খোরশেদ।
হত্যার শিকার বেবী বেগম জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার হাঁসা গ্রামের শেখবাড়ীর মৃত আবুল হাশেম শেখের মেয়ে। বেবী-খোরশেদ দম্পতির তিন মেয়ে রয়েছে। তাদের সবার বিয়ে হয়ে গেছে।
নিহত বেবী বেগমের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, সকালে তার বোন জামাই খোরশেদ আলম ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার করেছেন হাসপাতাল থেকে এমন খবর পেয়ে দ্রুত তারা খবরটি বোনকে জানাতে যান। বাড়িতে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা দেওয়া। পরে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে বেবীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান। ঠিক কী কারণে এ ঘটানাটি ঘটেছে তার সঠিক কারণ জানাতে পারেননি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। তবে এলাকাবাসী জানিয়েছে প্রায়ই খোরশেদ আলম তার স্ত্রীকে মারধর করতেন। নিহত দম্পতির তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বাড়িতে তারা দু’জনেই থাকতেন।
চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুর রব জানান, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহ বলেই মনে হচ্ছে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে বেবী এবং চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে খোরশেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
আরএ