রোববার (১৪ জুলাই) সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পানির তোড়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় বাঁধের ১০০ ফিট অংশ ধসে গেছে। ফলে ওইসব এলাকার ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড ও পোড়ারচর এলাকার প্রায় ৪০০ পরিবার আকস্মিকভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে বোচাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যা কবলিত এলাকার ৩৫টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, চারটি উপজেলার প্রায় ৪৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ৪ উপজেলায় ২৪০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ২ লাখ টাকা, ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় কাপাসিয়া ইউনিয়নে বন্যা দুর্গত ১০০ পরিবারের মধ্যে শুকনো খাবার ও বেলকা ইউনিয়নে ১০০ পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া, সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি চাল এবং ৩০ পরিবারকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবারের মধ্যে মিনিকেট চাল, সোয়াবিন তেল, মসুর ডাল, লুডুলস, চিনি ও লবণ রয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার, তিস্তার ২২ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার সামান্য নিচে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এনটি