রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর থেকে পানি কমতে শুরু করায় কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল শুরু হয়েছে। তবে বান্দরবানের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি।
এরআগে, গত রোববার থেকে বান্দরবান-রাঙামাটি সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। মঙ্গলবার বান্দরবান-চট্টগ্রাম সড়ক ডুবে যাওয়ায় সারাদেশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, বিভিন্ন উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে বান্দরবান-ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়েছে। তবে রাঙ্গামাটির সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। এছাড়া রুমা-থানচি উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ বাংলানিউজকে জানান, চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন প্লাবিত জায়গা থেকে পানি নেমে যাওয়ায় যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিন বান্দরবান শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকদের সরে যেতে প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া জেলার সাতটি উপজেলায় সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ষা মৌসুমে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে বলা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় পানি সরে যেতে শুরু করেছে এবং ওইসব এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এনটি