ফুলগাজী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানি নামার সময় নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। বাড়ি ঘর থেকে পানি কমলেও মানুষের দুর্ভোগ এখনও কমেনি।
এদিকে পরশুরামের উত্তর শালধরে মহসিন মেম্বার বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ১টি, দূর্গাপুরে কালাম মেম্বারের বাড়ি সংলগ্ন ২টি, উত্তর ধনিকুন্ডা বদু মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন, নোয়াপুর আলত মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন ও ফুলগাজীর জয়পুর গ্রামে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধসহ ১২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। বাঁধ ভেঙে শালধর, ধনিকুন্ডা, চিথলিয়া, রাজষপুর মালিপাথর, নীলক্ষ্মী, দেড়পাড়া, জয়পুর, কিসমত ঘনিয়ামোড়া, দূর্গাপুর, রামপুর ও পশ্চিম ঘনিয়া মোড়া গ্রাম, আমজাদহাট ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামসহ ৩১টি গ্রামের অনেকাংশ প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বন্যায় আমনের বীজতলা, মাছের ঘের ও গবাদি পশু নিয়ে মানুষ বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।
পরশুরাম উপজেলা ইউএনও রাসেলুল কাদের জানান, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। ১৫টি গ্রাম এখনও প্লাবিত। ৩৫০ পরিবারকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন আহমেদ জানান, যে ১২টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে সেগুলোর মধ্যে যেসব বাঁধের দৈর্ঘ্য কম সেগুলো আগে মেরামত করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এসএইচডি/এএটি