বোরবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যার পর বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে তারা এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরে আদালত টিকটক হৃদয়কে বরগুনা জেলহাজতে এবং স্কুলছাত্র রাতুল সিকদারকে বরিশালের একটি শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে বিকেলে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ১২ নম্বর আসামি টিকটক হৃদয়কে তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে এবং সন্দেহভাজন অভিযুক্ত রাতুল সিকদারকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
রিফাত হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি -তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, রিমান্ড শেষে দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হলে তারা উভয় রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এর আগে ৯ জুলাই সন্দেহভাজন রাফিউল ইসলাম রাব্বি রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
১ জুলাই আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলিউল্লাহ অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা তানভীর একই আদালতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
৪ জুলাই রিফাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি চন্দন ও ৯ নম্বর আসামি মো. হাসানও একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ৫ জুলাই একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রিফাত শরীফ হত্যার ফুটেজ দেখে শনাক্ত হওয়া ও তদন্তে বেরিয়ে আসা অভিযুক্ত মো. সাগর এবং নাজমুল হাসান।
মামলার দ্বিতীয় আসামি রিফাত ফরাজির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদাও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নয়ন বন্ডের সঙ্গে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে করা দু’টি মামলায় রিফাত ফরাজিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় সাতদিন রিমান্ড শেষে পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে রয়েছেন রিফাত ফরাজি।
এ মামলার ৬ নম্বর আসামি রাব্বি আকন সাত দিনের, সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আরিয়ান শ্রাবণ দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের ও সাইমুন চতুর্থ দফায় তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এসএইচ
